সংগৃহীত
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাড়ে ২১ কেজি ওজনের একটি জাভা ভোল মাছ সাড়ে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। রোববার সকালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ১৬ হাজার ২৮০ টাকা কেজি দরে মাছটি বিক্রি হয়।
বিকেলে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন জোমাদ্দার ও বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, গত মঙ্গলবার পাথরঘাটা থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে যান মোস্তফা গোলামের মালিকানাধীন এফবি তন্ময় ট্রলারের জেলেরা। চার দিন পর আজ ভোরে ট্রলারটি পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটে আসে। পরে সকালে ট্রলারের অন্যান্য মাছের সঙ্গে একটি ভোল মাছও বিক্রির জন্য আড়তে নিয়ে আসেন তাঁরা। এ সময় পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার মালিক সমিতির সদস্য ও আড়তদার মো. আলম মিয়া ভোল মাছটি বিক্রির জন্য হাঁক দেন। পরে মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোলায়মান সাড়ে ২১ কেজি ওজনের জাভা ভোল মাছটি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনে নেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক লোকজন মাছটি দেখতে ভিড় করেন।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. সোলায়মান বলেন, ভোল মাছটি তিনি ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় কিনেছেন। মাছটি চট্টগ্রামে পাঠানো হবে। ওখানে আরও বেশি দামে মাছটি বিক্রি করা হবে।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, ভোল মাছ সচরাচর পাওয়া যায় না। মূলত এ মাছের বালিশের (পেটের ভেতরে পটকাসদৃশ বস্তুর) চাহিদা অনেক বেশি। বিদেশিরা উন্নত মানের জুস তৈরিতে ভোল মাছ ব্যবহার করেন। তিনি আরও বলেন, ভোল মাছ মূলত বিদেশে রপ্তানি হয়ে থাকে। যার কারণে এ মাছের দাম খুব বেশি। বিদেশে এ মাছের উপকরণ দিয়ে সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, হংকং, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় এ মাছের চাহিদা খুব বেশি।
পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার বলেন, ভোল মাছ বিদেশে ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। তাই মাছটির দাম সব সময়ই বেশি।
সূত্র: প্রথম আলো