বিদেশি জাতের আম চাষে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। তার বাগানে গাছ গাছে ঝুঁলছে চিয়াংমাই, ডকমাই, ব্রুনাই কিং, আমেরিকান পালমা, কিউযায়সহ নানা প্রজাতির বিদেশি জাতের আম। এযেন এক আমের রাজ্য। এছাড়াও তার বাগানের গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে উকি দিচ্ছে মিয়াজাকি বা সূর্যডিম আম। ওইসব আমের মধ্যে এই আমটিই বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। বলছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আব্দুল মান্নান মিয়ার কথা তিনি এইসব বিদেশি জাতের আমের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।
জানা যায়, আব্দুল মান্নান মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর শহরের দেবগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তিনি শখের বশে বিদেশি জাতের আম চাষে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছেন। বিদেশি অন্যান্য জাতের মধ্যে তার বাগানে রয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম মিয়াজাকি বা সূর্যডিম। এই জাতের আমের গাছটিই তার বাগানের শোভা আরো বহুগুণে বাড়িয়েছে। তার এই বাগানটি দেখতে প্রতিদিন অনেক মানুষ ভীড় করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আব্দুল মান্নান তার বাগানের চারিদিক নেট জাল দিয়ে বেড়া দিয়ে রেখেছেন। আর ভেতরে রয়েছে সারিদ্ধভাবে লাগানো বিদেশি জাতের আমের গাছ। গাছগুলো ৩ বছর আগে লাগানো হয়েছিল। বর্তমানে তার বাগানে চিয়াংমাই, ডকমাই, ব্রুনাই কিং, আমেরিকান পালমা, কিউযায়সহ নানা প্রজাতির বিদেশি জাতের আম। এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম মিয়াজাকিও রয়েছে। আমগুলো দেখতে খুব সুন্দর ও খেতে অতিসুমিষ্ট।
আব্দুল মান্নান মিয়া বলেন, গাছ লাগানো আমার ছোটবেলার শখ। তারপর চাকরি করার কারণে আর গাছ লাগানো হয়নি। গত ২ বছর আগে অনলাইনের মাধ্যমে দেশি বিদেশি নানা জাতের আমের চাষ দেখে আমিও বাগান করতে আগ্রহী হই। তারপর কৃষি বিভাগের পরামর্শে রাজশাহী, রংপুর, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশের ২০ শতক জমিতে বিদেশি জাতের আমের চারা রোপন করে এর বাগান তৈরী করি। বর্তমানে আমার বাগানে ৩০টি বিদেশি জাতের আমের গাছ রয়েছে। এছাড়াও কিছু দেশি আমের গাছও রয়েছে। এবছর প্রতিটি গাছেই ফলন এসেছে।
তিনি আরো বলেন, বিদেশি সবগুলো গাছে আম আসায় এলাকায় মানুষ চমকে যান। আমার বাগানের খবরটি ছড়িয়ে পড়লে প্রতিদিন অনেকেই দেখতে আসছেন।
আব্দুল মান্নান আরো বলেন, বাগান করতে এখন পর্যন্ত আমার ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এবার প্রতিটি গাছেই ফলন এসেছে। কোনো কোনো গাছের একটি আম ২ কেজিরও বেশি ওজনের হয়েছে। আশা করছি লাভবান হতে পারবো।
পৌর শহরের কলেজ পাড়া এলাকার মো. সাব্বির হোসেন বলেন, অনেকের কাছে এই বাগানের কথা শুনেছি। তার বাগানে অনেক বিদেশি জাতের আমের গাছ রয়েছে। আমিও তার কাছ থেকে চারা সংগ্রহ, পরিচর্যা ও ফলনসহ বিভিন্ন পরামর্শ নিয়েছি। আমিও এমন একটি বাগান তৈরী করবো।
আখাউড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, এই উপজেলায় আব্দুল মান্নান বিদেশি জাতের আমের আবাদ করছেন। তিনি সাফল্যও পেয়েছেন। আমগুলো দেখতে খুবই সুন্দর ও সুস্বাদু। এই জাতের আমগুলো অনেকে শখের বশে চাষ করে থাকে। তবে বাণিজ্যিকভাবে কেউ চাষ করলে আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ