শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

শিমলা মরিচ চাষে মানিকের ৮ লাখ টাকা আয়!

শিমলা মরিচ চাষে মানিকের ৮ লাখ টাকা আয়!

যশোরে শিমলা জাতের মরিচ চাষে সফল যুবক মানিক রাজা। এটি ক্যাপসিকামেরই অন্যতম একটি জাত। এটি সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। সাধারনত বিভিন্ন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট ও নামিদামি হোটেলে খাবারের সাথে সালাদ হিসেবে ব্যবহার হয়। তিনি এর চাষ করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন।

জানা যায়, যুবক মানিক রাজা যশোরের শার্শা উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ক্যাপসিকাম জাতিয় ফসল শিমলা মরিচ চাষে সফল হয়েছেন। পারিবারিক আর্থিক অভাবের কারণে এইচএসসি পরিক্ষা দিয়ে চলে যান প্রবাসে। করোনার সময় দেশে ফিরে আসেন। তারপর শিমলা মরিচের বীজ সংগ্রহ করে ১০ শতাংশ জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে এর চাষ করেন। এটি দেখতে প্রায় মরিচের আকৃতির। তবে এটি লম্বায় ১০ ফুট পর্যন্ত হয়ে থাকে। পরিক্ষামূলক চাষে সফলতা পাওয়ার পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় দেড় বিঘা জমিতে এর চাষ করেছেন। বর্তমানে এই মরিচ চাষে তিনি প্রায় ১২ লাখ টাকার মতো লাভ করেছেন।

মানিক রাজা বলেন, পরিবারের আর্থিক উন্নতির কথা চিন্তা করে এইচএসসি পরিক্ষা দেওয়ার পর প্রবাসে চলে যাই। করোনার সময় দেশে ফিরে আসি। ফেরার সময় ভারতের পুনে থেকে শিমলা বীজ সংগ্রহ করে নিয়ে আসি। বাড়িতে এসে বাবার ১০ শতাংশ জমিতে পরিক্ষামূলকভাবে চাষ করি। ফলন ভাল পাওয়ায় পরে কৃষি বিভাগের সাথে যোগাযোগ করি। তারা বলেন এটি বড় পরিসরে করলেও তেমন কোনো ঝুঁকি নেই।

তিনি আরো বলেন, তারপর ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে দেড় বিঘা জমিতে বাণিজ্যকভাবে শিমলা মরিচের চাষ শুরু করি। চাষে আমার প্রায় ৪ লাখ টাকার খরচ হয়। তবে ইতোমধ্যে ১২ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। জমিতে আরো প্রায় ৮ লাখ টাকার মরিচ রয়েছে। আমার জমির মরিচ রাজধানীর কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে।

যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) আবু তালহা বলেন, আমি মানিক রাজার জমিটি পরিদর্শন করেছি। তার এই শিমলা মরিচ চাষের শুরু থেকেই কৃষি বিভাগ তাকে সহযোগিতা করছে। তিনি এর চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। আশা করছি তিনি আরো বেশি সফলতা পাবেন। তার মাধ্যমে আরো নতুন নতুন উদ্যোক্তার সৃষ্টি হবে। আর শিমলা মরিচের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে।

আলোকিত সিরাজগঞ্জ

সর্বশেষ: