সংগৃহীত
গত কয়েক বছর ধরে এপ্রিল মাস থেকেই শুরু হচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ধারাবাহিকতায় এ বছরও চলছে তাই। এ সময়টি কেবল অস্বস্তিদায়ক অনুভূতিই দিচ্ছে না, এটি বাড়িয়ে দিচ্ছে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকিও।
হিট স্ট্রোক আমাদের স্বাস্থ্যের নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে। তাই এই সময়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। গবেষকরা বলছেন, বিগত পঞ্চাশ বছরে সতের হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন হিট স্ট্রোকের কারণে। এ ধরনের আবহাওয়ায় বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হতে নিষেধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এসময় বাইরে বের হলে শরীরে পানির অভাব দেখা দিতে পারে। সেখান থেকেই বাড়তে পারে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি।
যখন কোনো ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ গরম বাতাস ও সূর্যের আলোতে থাকে, তার মুখ ও মাথা দীর্ঘক্ষণ সূর্যের আলো ও গরম বাতাসের সংস্পর্শে এসে হিট স্ট্রোক বা সান স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন হিট স্ট্রোক হয়েছে
> হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়তে থাকে। হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরে পানিশূন্যতার সমস্যা বেড়ে যায়।
> হিট স্ট্রোকে ঘাম বন্ধ হয়ে যায় এবং তাপ শরীর থেকে বের হতে পারে না। শরীরে ক্র্যাম্প দেখা দিতে পারে এবং দুর্বলতা বাড়তে থাকে।
> হিট স্ট্রোক এলে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এবং মাথা ঘুরতে শুরু করে। ব্যক্তি বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে এবং তার মানসিক অবস্থাও প্রভাবিত হয়।
> হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীর গরম এবং লাল হয়ে উঠবে কিন্তু ঘাম হবে না। সেইসঙ্গে হৃদস্পন্দন দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত বাড়তে থাকবে।
সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ