রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

মুড়মুড়ি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে

মুড়মুড়ি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে

সংগৃহীত

মুড়মুড়ি বা হামজাম ছোট আকারের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এটি পলিয়ালথিয়া গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি বনে জংগলে জন্মে। মুড়মুড়ি ফলের অন্য আরেকটি নাম আমঝুম। এর বৈজ্ঞানিক নাম Polyalthia suberosa।

স্কটীয় চিকিৎসক, উদ্ভিদবিজ্ঞানী এবং ভারতীয় উদ্ভিদবিজ্ঞানের জনক হিসেবে সমধিক পরিচিত উইলিয়ম রক্সবার্গ ১৮৬৪ সালে এই প্রজাতির বিবরণ দেন। এই গাছের বাকল বেশ পুরু, ঝোপাল ডালপালা। পাতা অবডিম্বাকার, পাতার অগ্রভাগ সূচাল নয়, ভোতা। পাতার উপরের পিঠ খুব চকচকে, নিচের পিঠ তত চকচকে নয়। ফল বেরি প্রকৃতির। খুবই ছোট। দেখতে অনেকটা মটরদানার মতো। ফলের স্বাদ পানসে মিষ্টি, সুপারির ন্যায় কষযুক্ত। ফল পাকে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে। কাঁচা ও পাকা দুভাবেই খাওয়া যায়। বীজ থেকে চারা হয়  মুড়মুড়ি বাংলাদেশের একটি অপ্রচলিত ফল।

মুড়মুড়ি গাছ বাংলাদেশসহ ভারত, মায়ানমার ও শ্রীলংকায় জন্মে। বাংলাদেশের খুলনা, নড়াইল, যশোর, মাগুরা , কুষ্টিয়া, পাবনা প্রভৃতি এলাকায় মুড়মুড়ির গাছ বেশি পাওয়া যায়। মুড়মুড়ি গাছের ভেষজ গুণাগুণ রয়েছে।

মুড়মুড়ি গাছের ভেষজ গুণাগুণ

১। মুড়মুড়ি গাছের পাতার রস নিয়মিত খেলে মুখের ঘা ভালো হয়।

২। খুব বেশি আমাশয় হলে মুড়মুড়ি গাছের বাকল সিদ্ধ করে এই ক্বাথ ছাগলের দুধের সঙ্গে সকাল বিকেল সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

৩। ব্রণ ও মেচতা হলে মুড়মুড়ি গাছের পাতা বেটে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

৪। মুড়মুড়ি স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে। সব ভুলে যাচ্ছেন কোন কথা মনে থাকছে না তাহলে মুড়মুড়ি গাছের পাতার রস মধু ও দুধের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে উপকার পাওয়া যায়।

সর্বশেষ: