সংগৃহীত
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি মারিয়া ব্রায়ানাস মোরেরা ১১৭ বছর বয়সে মারা গেছেন। তিনি জন্মেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। দেখেছেন দুটি বিশ্বযুদ্ধ। তার পরিবার মঙ্গলবার বলেছে, তিনি স্পেনে মারা গেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তার পরিবার লিখেছে, মারিয়া ব্রানয়াস আমাদেরকে ছেড়ে চলে গেছেন। তার ইচ্ছা অনুযায়ী তিনি শান্তিপূর্ণভাবে, বেদনাহীন ঘুমের মধ্যে মারা গেছেন। তার উপদেশ, তার মহানুভবতা চিরদিন আমরা স্মরণ রাখবো।
স্পেনের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় ওলোট শহরে সান্তা মারিয়া ডেল তুরা নার্সিং হোমে মারিয়া ব্রায়ানাস অবস্থান করছিলেন দুই দশক ধরে। মঙ্গলবার এক পোস্টে তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, কিছুটা দুর্বল লাগছে তার। সময় ঘনিয়ে এসেছে।
আমার জন্য কেঁদো না। আমি কান্নাকে পছন্দ করি না। সর্বোপরি আমার জন্য বেদনা বোধ করো না। যেখানেই যাই, সুখে থাকবো। তার পক্ষে চালানো এক্সে এ কথা বলা হয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মারিয়া ব্রায়ানাসকে স্বীকৃতি দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
মারিয়ার মৃত্যুর পর এখন বিশ্বের সবচেয়ে জীবিত বয়স্ক মানুষের রেকর্ডটি গেছে জাপানের তোমিকো ইতোকার দখলে। তিনি ১৯০৮ সালের ২৩ মে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বর্তমান বয়স ১১৬ বছর।
ব্রায়ানস তার জীবদ্দশায় ১৯১৮ সালের ফ্লু, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, স্পেনের গৃহযুদ্ধ এবং করোনা মহামারি দেখেছেন। ২০২০ সালে মারিয়া করোনায় আক্রান্তও হয়েছিলেন। কিন্তু মরণব্যাধী এ রোগ থেকে পুরোপুরি সেরেও উঠেছিলেন তিনি।
মারিয়া ব্রায়ানস ১৯০৭ সালের ৪ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রে সান ফ্রান্সিসকোতে জন্ম নেন। এর কয়েক বছর আগে তার পরিবার মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যায়। তবে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯১৫ সালে তারা তাদের আদি নিবাস স্পেনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় এবং একটি জাহাজে চড়ে। তবে এই যাত্রায় তার বাবা টিউবারকিউলিসে আক্রান্ত হয়ে জাহাজেই মারা যান। কোনো উপায় না থাকায় তার বাবার কফিনটি সমুদ্রে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান