রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

গুণে ভরপুর আপেল সিডার ভিনেগার

গুণে ভরপুর আপেল সিডার ভিনেগার

সংগৃহীত

আপেল সিডার ভিনেগার অনেকেরই কাছে পরিচতি। ত্বক, চুলের চর্চা থেকে শুরু করে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যা কমাতে আপেল সিডার ভিনেগার বেশ উপকারী। আপেল সিডার ভিনেগার ফার্মেন্টেড আপেলের জুস থেকে তৈরি তরল। আপেলে থাকা প্রাকৃতিক সুগার ফার্মেন্টেশন বা গাজন প্রক্রিয়ায় অ্যালকোহলে পরিণত হয় এবং এই অ্যালকোহল থেকে অ্যাসিটিক এসিড তৈরি হয়।

অ্যাসিটিক এসিডের কারণে আপেল সিডার ভিনেগার গন্ধযুক্ত ও ঝাঁজালো স্বাদযুক্ত হয়। ওজন কমায়: গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত আপেল সিডার ভিনেগার খেলে ওজন, ডায়াবেটিস এবং হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ন্ত্রণে থাকে। বেশির ভাগ মানুষই ওজন নিয়ন্ত্রণে আপেল সিডার ভিনেগার খান। ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে–সুষম খাবার, ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ইত্যাদি বিষয় মেনে চলার পাশাপাশি আপেল সিডার ভিনেগার গ্রহণ করলে এটি বিএমআর (বডি মেটাবলিক রেট) বাড়িয়ে ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে ২০১৯ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, আপেল সিডার ভিনেগার টাইপ টু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গবেষণার জন্য গবেষকরা টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ১১০ জনকে তিন মাস ধরে রাতের খাবারের সময় এক গ্লাস পানির সঙ্গে আধা আউন্স পরিমাণের আপেল সিডার ভিনেগার মেশান। সেই সময়ের মধ্যে যারা পানির সঙ্গে মেশানো আপেল সিডার ভিনেগার খেয়েছেন তাদের রক্তে শর্করার পরিমাণ ও এইচবিএওয়ানসির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে।

হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ বা আধা আউন্স পরিমাণে আপেল সিডার ভিনেগার পান করেন তার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে। এর ফলে হৃৎপিণ্ডের  স্বাস্থ্য ভালো থাকে।

এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন ধরনের ব্যথা, ক্র্যাম্প ফোলা ভাব, চুলকানি কমাতেও ভূমিকা রাখে আপেল সিডার ভিনেগার।  সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে ফার্মেন্টেড প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়ার কারণে আপেল সিডার ভিনেগারে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এ কারণে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণের পরিমাণ কমায় এটি। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন ব্যক্তি সারাদিন সর্বোচ্চ দুই টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারবেন। প্রথমে এক টেবিল চামচ দিয়ে শুরু করে দেখতে হবে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না। পরে ধীরে ধীরে দুই টেবিল চামচ খাবেন। তবে সারাদিন এক টেবিল চামচ পরিমাণ খাওয়াই যথেষ্ট।

সূত্র: সমকাল

সর্বশেষ: