বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

তাড়াশে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবণা দেখছেন কৃষক

তাড়াশে ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবণা দেখছেন কৃষক

সংগৃহীত

শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সর্বত্র দিনদিন ভুট্টা চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। আর ওই ভূট্টা- চাষে এবং বিনা চাষে আবাদ হয়ে থাকে।

এ বছর ভুট্টার বাম্পার ফলনের সম্ভাবণা দেথছেন কৃষক। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বোরো আবাদের পাশাপাশি অনেক জমিতে এবার ভুট্টা চাষ করছে বিলাঞ্চলের কৃষক।

তবে বেশি ভুট্টা চাষ করছে চরাঞ্চলের কৃষকরা। এখন ভুট্টা চাষীরা ভুট্টার ক্ষেতে রোগবালাই রক্ষার জন্য পরিচর্চা করছেন। উপজেলা কৃষি কার্যালয় জানিয়েছে, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার ফসলী মাঠে চলতি মৌসুমে চাষকৃত পদ্ধতিতে ৬১৬ হেক্টর ও বিনা চাষে ৭৭৭ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এ বছর প্রায় ১৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ বেশি করা হয়েছে। এ অঞ্চলে সাধারণত বারি – ৫, বারি -৬, বারি -৭, বারি মিষ্টি ভুট্টা -১,বারি বেবি কর্ণ ১ জাতের ভুট্টা বেশি চাষ হয়ে থাকে।

ভুট্টা আবাদে তুলনামূলক খরচ অনেক কম হওয়ায় কৃষকদের ভুট্টা চাষে আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার ফলন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আশা করছেন কৃষকেরা।

এ বছর তাড়াশ উপজেলার মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন, সগুনা ইউনিয়ন, তালম ইউনিয়ন, নওগাঁ ইউনিয়ন, বারুহাস ইউনিয়ন, তাড়াশ সদর ইউনিয়নে ভুট্টার আবাদ বেশি হয়েছে।

সরেজমিনে এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিল এলাকার যে সমস্ত জমিতে চাষ ছাড়াই কাঁদা নরম মাটিতে ভুট্টা চাষ করা হয়েছে, সে সকল জমি গুলোতে ভুট্টা গাছে কাঁদি ধরেছে। পাশাপাশি যে সকল জমিতে চাষ করে ভুট্টা লাগানো হয়েছে, সে সমস্ত জমিতে ভুট্টা গাছ কাঁদি আসার সময় হয়েছে।

নাদোসৈয়দপুর মধ্যপাড়া কৃষক মো. আনশব আলী বলেন, অতিরিক্ত কুয়াশা আর ঠান্ডার কারণে ভুট্টার গাছ হেলে পড়তে পারে সে জন্য কান্দিতে মাটি দিচ্ছি। ক্ষেতে আগাছা পরিস্কারে কাজ করা হচ্ছে। এই আবাদে কম খরচে লাভ হয় বেশি হওয়ায় তিন বিঘা জমিতে ভুট্টা আবাদ করেছি।

একই এলাকার আরেক কৃষক মুজিবর রহমান জানান, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে ভুট্টার এবারে আবাদ খুব ভালো হবে। অন্যান্য ফসলের চেয়ে এ আবাদে খরচ অনেক কম লাগে। আমি বোরো ধানের পাশাপাশি দুই বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বিলাঞ্চলে ও চরাঞ্চলে ভুট্টা চাষে খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ বেশি হয়েছে। আশা করছি এবার ফলন ভালো হবে। এ প্রসঙ্গে তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ বছর তাড়াশ এলাকায় ভুট্টার চাষ অনেকটাই বেশি হয়েছে। রোগ- বালাই দমনে কৃষি বিভাগের লোকজন সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে ভুট্টার ফলন ভাল হবে।

সর্বশেষ: