শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১

তাড়াশে ক্ষীরার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

তাড়াশে ক্ষীরার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

সংগৃহীত

চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বিস্তীর্ণ ফসলী মাঠজুড়ে ক্ষীরার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষীরার জমি থেকে ক্ষীরা তুলে বাজার জাত করতে শুরু করেছেন কৃষকেরা।

ক্ষীরার ভালো ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুঠে উঠেছে। এ এলাকার ক্ষীরা অন্যান্য এলাকার ক্ষীরার চেয়ে সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার ক্ষীরার চাহিদা অনেকটাই বেশি থাকে। পাশাপাশি বোরো ধানের আবাদের চেয়ে ক্ষীরার চাষে খরচ বেশি হলেও লাভের পরিমানটা বেশি হয়। তাই প্রতি বছর বোরো ধানের পাশাপাশি কৃষকেরা ক্ষীরার চাষ করে থাকে। এমনটাই জানালেন বিনোদপুর গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবাহান।

তাড়াশ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বারুহাস, সগুনা, মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলী মাঠে এ বছর ব্যাপক ক্ষীরা আবাদ হয়েছে। গত বছর উপজেলায় ২৮০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার আবাদ হলেও চলতি বছর প্রায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

বারুহাস ইউনিয়নের কুমুম্বীরগ্রামের কৃষক আফসার আলী জানান, এ বছর ক্ষীরার ভালো ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করতে খরচ হয়েছে ১৪-১৫ হাজার টাকা, যা বিক্রি করে ৪৫-৫০ হাজার টাকা আয় করা যাচ্ছে। ফলে প্রতি বিঘা জমিতে ক্ষীরার আবাদ করে কৃষকের লাভ হচ্ছে ৩৫-৪০ হাজার টাকা।

খড়খড়িয়া গ্রামের আরেক কৃষক মফিজ উদ্দিন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০০ মণ ক্ষীরা উৎপাদন হয়। প্রতি মণ ক্ষীরা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার দুইশত টাকা দরে। এতে লাভবান হচ্ছেন চাষি। উপজেলার স্থানীয় আড়তদাররা প্রতিদিন ২০-৩০টি ট্রাকে করে ক্ষীরা পাঠাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, চলতি বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু আবাদ হয়েছে ৩২৫ হেক্টর জমিতে। গত বছর ২৮০ হেক্টর জমিতে ক্ষীরার আবাদ হলেও এ বছর ৫৫ হেক্টর জমিতে বেশি আবাদ হয়েছে। ক্ষীরা চাষিদের ব্যাপক উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি পরিচর্যার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ফলে ফলন ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি কৃষক।

সর্বশেষ: