জেলার যমুনা নদীতে জেগে ওঠা ছোট-বড় অসংখ্য চরাঞ্চলে শুকনো মৌসুমে সবুজ প্রকৃতি ফসলের মধ্যে নতুন পলিমাটিতে মরিচের ব্যাপক চাষ হয়েছে। চলতি বছর মরিচের বাম্পার ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যমুনার বিস্তৃর্ণ চরাঞ্চল জুড়ে মরিচের খেত থেকে কৃষক-কৃষাণীরা দলবেধে লাল, সবুজ মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমি থেকে মরিচ তুলে বস্তাবন্দি করছেন। প্রতিদিন দূর-দূরান্তের মরিচের পাইকাররা এখান থেকে মচির ক্রয় করে নদীপথে নিয়ে যাচ্ছেন আড়তে। সেখান থেকে জেলার চাহিদা মিটিয়ে চলে যাচ্ছে সারা দেশে।
প্রতি হেক্টর জমিতে মরিচের উৎপাদন হয়েছে ১০ দশমিক ৬৩ টন। এবছর জেলায় শুকনা মরিচের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ হাজার ৪৮৮ টন। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে সারা দেশে। এতে অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছে স্থানীয় চাষীরা।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সদর উপজেলায় ৬৮০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। কৃষি বিভাগের সার্বিক সহযোগিতায় এবারে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ মন মরিচের ফলন হয়েছে। ফলন ও দাম ভালো পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
সিরাজগঞ্জ কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের (উপ-পরিচালক) বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, এ বছর জেলায় ১৮৭০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ হাজার ৪৮৮ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় শতকোটি টাকা। আগামীতে কৃষকরা মরিচ চাষে আগ্রহী হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।