সংগৃহীত
তীব্র গরম ও তাপদাহে মানুষের জনজীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তির আশায় বেছে নিচ্ছেন কোমল পানীয় কেউ বা লেবুর শরবত আবার কেউ কেউ নানা রকম দ্রব্য মিশ্রিত রঙ্গিন শরবত। যা আমাদের সাময়িক ভাবে স্বস্তি দিলেও এ নিয়ে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুকি।
সরেজমিন সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন বাজার- শহর এলাকায় ভ্যানের উপর বিক্রি করছে নানা ধরনের শরবত। যেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, কম পরিমাণে সোডিয়াম সালফেট, সোডিয়াম বাইসালফেট এবং ফেরিক সালফেট মিশ্রিত বিট লবণ, বিভিন্ন ধরনের মশলা এবং নানা রকম কেমিকাল দ্বারা তৈরি রঙ্গিন শরবত। এছাড়াও বিভিন্ন ফ্লেভার দিয়ে তৈরীকৃত শরবত আমাদের সাময়িক ভাবে স্বস্তি দিলেও এতে বেড়ে চলেছে স্বাস্থ্যঝুকি।
এছাড়াও দেখা যায়, একজন বিক্রেতা প্রতিদিন প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষের কাছে বিক্রি করে থাকেন কিন্তু তাদের ব্যবহৃত গ্লাস ৫ থেকে ৬ টি যাতে একজন খাওয়ার পরেই পরিবেশন করা হচ্ছে অন্যজনকে। তারা যে যন্ত্রের দ্বারা লেবু চেপে তার ভিতরেও ময়লা জমে থাকতে দেখা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এসব শরবত স্বাস্থ্যকর নয়। এসব শরবত গ্রহনের ফলে পেটে পীড়া, গ্যাসের সমস্যা,ওজন হ্রাস পায়, ত্বকে প্রদাহ,দাঁতের ক্ষতি হয়, চুল পড়া থেকে শুরু করে ফ্লুরোসিস রোগসহ নানা সমস্যা ও ভাইরাসের প্রবনতা দেখা দেয়।
গরমে সাময়িক স্বস্তি যেমন প্রয়োজন ঠিক সুস্বাস্থ্যের জন্য এসব দিক ভাবা টাও জরুরী। এক্ষেত্রে সঙ্গে পানি রাখবেন যখন সুযোগ পাবেন খাবেন অথবা দোকান থেকে পানি কিনে খাবেন।সুযোগ পেলে স্বাস্থ্যকর স্যালাইন খাবেন। বাইরের হাট- বাজার, রাস্তাঘাট অথবা ফুটপাতের শরবত যথাসম্ভব এরিয়ে চলবেন।
এসব শরবত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ পান করেন যাদের উপর তার পরিবারের অনেকেই নির্ভরশীল এবং বাচ্চারাও গ্রহণ করেন তাই খাদ্য অধিদপ্তরের উচিৎ এই সময় তাদের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার মাধ্যমে গরম মৌসুম ভিত্তিক এসব শরবতসহ যেসমস্ত খাবার রয়েছে তার প্রতি নজর দেয়া এবং ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এসব খাবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা। স্বাস্থ্যকর না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সিরাজগঞ্জ বাসী জোর দাবী জানিয়েছেন।