যদি চিন্তায় থাকেন সিগন্যাল, টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের মধ্যে কোনটি ব্যবহার করবেন, তবে সময় নষ্ট না করে নির্দ্বিধায় সিগন্যাল বেছে নিতে পারেন। ব্যবহারের সুবিধা কিংবা ফিচারের জন্য নয় গোপনীয়তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটিই সেরা।
সিগন্যাল, টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ তাদের অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহার করে। যার মাধ্যমে অন্য কেউ ব্যবহারকারীর ম্যাসেজ পড়তে পারে না। এমনকি কোম্পানির কোনও কর্মচারী ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত ম্যাসেজ পড়তে পারে না।
সিগন্যাল, টেলিগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি ফিচারে বড় কোনো পার্থক্য না থাকলেও কিছু জায়গায় এদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যেমন; ডাটা গ্রহণ, বিজ্ঞাপন ও এনক্রিপশন ইত্যাদি।
সিগন্যাল একটি সাধারণ ওয়ান-ট্যাপ ইনস্টল অ্যাপ্লিকেশন, যা গুগল প্লে এবং অ্যাপলের অ্যাপ স্টোরের মতো সাধারণ মার্কেটপ্লেসে পাওয়া যায়। অন্যান্য সাধারণ মেসেজিং অ্যাপের মতোই কাজ করে। এটি সিগন্যাল ফাউন্ডেশন দ্বারা বিনামূল্যে সরবরাহ করা ওপেন-সোর্স ডেভেলপমেন্টের একটি অলাভজনক সংস্থা। বিখ্যাত এডওয়ার্ড স্নোডেনের মতো হাই-প্রোফাইল আইকন বছরের পর ছর ধরে এটি ব্যবহার করে আসছে।
সিগন্যালের মূল ফাংশন হলো এটি অন্যান্য সিগন্যাল ব্যবহারকারীদের পরিচয় যাচাই করার পর পুরোপুরি এনক্রিপ্ট করা টেক্সট, ভিডিও, অডিও এবং ছবি প্রেরণ করতে পারে। এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনগুলোর অসুবিধা এবং সীমাবদ্ধতা গভীরভাবে অনুসন্ধানের পর, সিএনইটির লরা হাউটালার এক্সপ্লেইনার সিগন্যালকে লাইফ-সেভার অ্যাপ বলে জানিয়েছেন।
গোপনীয়তার কথা আসলে অন্য কোনো অ্যাপ সিগন্যালের সঙ্গে টেক্কা দিতে পারবে না। এটি ব্যবহারকারীদের কোনো ডাটা সঞ্চয় করে রাখে না। এনক্রিপশন দক্ষতার বাইরে এটি ব্যবহারকারীদের অ্যাপ লক, ফাঁকা নোটিফিকেশন পপ-আপ, ফেস-ব্লারিং অ্যান্টিসার্ভিলেন্স টুল এবং অনস্ক্রিন গোপনীয়তার সুবিধাগুলোও দেয়।
দ্য গার্ডিয়ান, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সবাই তাদের সাংবাদিকদের সঙ্গে নিরাপদে যোগাযোগের জন্য সিগন্যাল ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়।
আলোকিত সিরাজগঞ্জ